রমজান মাসের রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত - রমজান মাস ২০২৪

নিজেকে পরিবর্তন করার উপায় জেনে নিনহিজরী নবম মাসের নাম রমজান। সাবান ও শাওয়াল মাসের মধ্যবর্তী এ মাসে মুসলমানরা রোজা পালন করে। রজম- আরবি শব্দ,অর্থ পুরানো বা দহন করা। রোজা ফরাসি শব্দ এর অর্থ উপবাস। রমজান মাসে রোজার মাধ্যমে মানুষ তার পাপ প্রবণতাকে দহন করে নির্মল হয়।
রমজান মাসের রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত
 রমজান মাসের রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত
আরবি শব্দ সিয়াম সাওম এর বহুবচন অর্থ বিরত থাকা, সংযম করা। শরীয়তের পরিভাষায় সাওম হল সুবহে সাদিক অর্থাৎ প্রভাতের আলো সাদা রেখা প্রকাশের সময় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার যৌন সম্ভোগ হতে বিরত থাকা।

ভূমিকা

রমজান মাসে রোজা পালন করা প্রত্যেক বোধসম্পন্ন প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান নর-নারীর উপরে ফরজ আইন। শরীয়ত সম্মত মানুষ ছাড়া রমজান মাসে রোজা ত্যাগ করা হারাম। বারো মাসের মধ্যে রমজান মাস হল শ্রেষ্ঠ মাস। যে কারণে এ মাসের সাথে রোজা পালনের বিধানকে সম্পৃক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এ মাসের ফজিলত সম্পর্কে কুরআন হাদিসে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। আল্লাহ পাক এরশাদ করেন :

রমজান মাস হল সে মাস। যাতে নাযিল হয়েছে কোরআন যা মানুষের হেদায়েতের জন্য এবং সৎ পথে যাত্রীদের জন্য। সুস্পষ্ট পথনির্দেশনা আর ন্যায়-অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে সে এ মাসের রোজা রাখবে।

যে ব্যক্তি এ মাসে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় একটি নফল ইবাদত করবে তার পুণ্য অন্য সময়ের ফরজ আদায়ের সমতুল্য এবং একটি ফরজ কাজের স‌ওয়াব অন্য মাসের ৭০ টি ফরজ আদায়ের সমতুল্য হবে। ধৈর্য,সহিষ্ণু,সংযম ও সহানুভূতির মাস রমজান। এ মাসে মুসলমানরা বাকি ১১ মাসে আল্লাহর নির্দেশ এবং রাসূলের আদর্শ মত চলার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।

শিক্ষা নেয় সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের প্রতিরোধ করার। এক নির্দিষ্ট নিয়মে মুসলমানগন সাহরি, ইফতার,রোজা,তারাবি ও ইবাদত-বন্দেগী আদায় করে। এর দ্বারা মুসলমানদের মধ্যে তাকওয়া বা খোদাভীতি, নবী প্রেম এবং সকল কাজের শরীয়তের বিধি-বিধান অনুসারে চলার মনোভাব সৃষ্টি হয়।

রোজার গুরুত্ব

রোজা আত্মশুদ্ধি, প্রশিক্ষণ, দীনি দাওয়াত ও জিহাদের মাস। এ মাসে ইসলামের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এ পবিত্র মাসেই আল্লাহর বাণী সংবলিত, ঐশ্বর্য গ্রন্থ সমূহ অবতীর্ণ হয়েছিল‌। বিশ্বমানবতার মুক্তি সনদ ও মুসলিম জাতির জন্য পূর্ণাঙ্গ চিরন্তন জীবন ব্যবস্থা হিসেবে পবিত্র কোরআন নাযিল হয়েছে। এ মাসে আল্লাহ তায়ালা সকল আসমানী কিতাব নাযিলের জন্য এই মাসকে নির্দিষ্ট করার কারণেই এই মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সর্বাপেক্ষা বেশি‌।

হাদিস শরীফে রমজান মাসকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম দশক কে আল্লাহর রহমত লাভ। মধ্যে দশ দিনকে মাগফিরাত বা ক্ষমা এবং শেষ দশ দিনকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের পরম সুযোগ হিসেবে আমাদের জীবনে দান করা হয়েছে। রমজান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোই হাজার মাসের চেয়ে উত্তম শবে কদর বা সৌভাগ্য রজনী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই পবিত্র মাস সুবর্ণ দিনগুলি এবং সৌভাগ্য রজনী লাভ করা সত্ত্বেও যে ব্যাক্তি তার পাশাপাশি ক্ষমা করিয়া আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেনা,তার চেয়ে দুর্ভাগা আর কেউ নেই। একজন মুসলমানের জীবনে ইহকাল ও পরকালীন কল্যাণ নবীর মহব্বত এবং গুনাহ মাফ করিয়ে আল্লাহ তা'আলা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য রমজান মাসের চেয়ে উত্তম সুযোগ আর হতে পারে না।

রমজান মাসের রোজার ফজিলত

রোজা পালনের দ্বারা বান্দা আল্লাহর উপর গভীর আস্থা ও পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে। এই বিশ্বাস নিয়ে রোজাদার এক মাত্র আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিজের সকল ক্ষুধা পিপাসা, ক্রোধ ও লাভ-লালসা ইত্যাদি দমন করে রোজা পালনের ব্রতী হয়। রোজা মানুষকে ভিতর ও বাহির, দেহ ও আত্মাকে যাবতীয় পাপ থেকে পবিত্র করে। রোজা রাখার কারণে মানুষ কুপ্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি অর্জন করে।

রোজার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহ পাকের দেওয়া অফুরন্ত নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রেরণা লাভ করে। রোজা মানুষের মধ্যে স্নেহ,ভালবাসা মায়া-মমতা ও পারস্পারিক-সহমর্মিতা ও আন্তরিকতা সৃষ্টি করে। রোজার বরকতে মানুষ অসভ্যতা, বর্বরতা ও বেহায়াপনা থেকে মুক্তি লাভ করে। রোজার মাধ্যমে ফেরেশতাদের দোয়া এবং মানুষের নৈকট্য অর্জন করা যায়।

রোজার দৈহিক উপকারিতা

ইসলামের বিধি বিধান বা রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর প্রতিটি সুন্নতের মধ্যেই মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ নিহিত আছে। ইসলাম হচ্ছে মানবজাতির স্বভাব প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাস্তব ভিত্তিক এক ধর্ম। আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের যত উন্নতি হচ্ছে ততই প্রমাণিত হচ্ছে শরীয়তের অনুশাসন গুলোর বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা।

নবী প্রেমে অন্ধ কোটি কোটি মানুষ হাজার বছর ধরে যেভাবে তার কথা ও কাজের অনুসরণ করে আসছে আজকে উম্মতরাও গভীর আস্থা ও পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে তার আদর্শের উপর অবিচল। প্রকৃত মুসলমানরা এর নীতিতে বিশ্বাসী যে, ইসলামের বিধি ব্যবস্থা কোন যুক্তি বা দর্শনের উপর নির্ভরশীল নয়। ইসলাম হচ্ছে কতগুলো বিশ্বাসের নাম। এর নিজস্ব একটা দর্শন রয়েছে যা বিশ্বাস, জ্ঞান ও কর্মের সমন্বয়ে রূপ লাভ করছে।

আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান যত উন্নত হচ্ছে ততই প্রমাণিত হচ্ছে ইসলামের বিশ্বাস ও বিধি-বিধানের বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা। সৌরজগৎ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ভাস্যগুলো একে একে প্রমাণিত হচ্ছে। মাদকদ্রব্য ধূমপান যৌনতার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে শরীয়ত আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে যে সর্তকতা বাণী উচ্চারণ করেছিল। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির মাধ্যমে ও সত্য প্রমাণিত হওয়ার পর এখন গোটা বিশ্ব ইসলামের সতর্ক বাণীর সাথে সুর মিলিয়ে চিৎকার করেছে।

বিশেষ করে বছরে এক মাস রোজা পালন করা মানুষের জন্য খুবই উপকারী এবং অপরিহার্য বলে চিকিৎসক মতামত প্রকাশ করেছেন। চিকিৎসকদের মতে, রোজা দেহের রূপ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরের পরিপাক প্রক্রিয়ার সুস্থতা বিধানে ব্যাপকভাবে ভূমিকা পালন করে। আমরা সাধারণত যে খাদ্য গ্রহণ করি তার মধ্যে আমিষ, শ্বেতসার‌ ও স্নেহজ জাতীয় খাদ্য গুলোর মধ্যে জীর্ণ ও শোষিত হয়ে গ্লুকোজ আকারে পরিপাক হয়ে যকৃতে প্রবেশ করে।

এভাবে মানুষের দেহে যতটা গ্লুকোজ উৎপন্ন হয় তার সবটা মিলিয়ে প্রতিনিয়ত খরচ হয় না। যকৃত হতে কিছু গ্লুকোজ রক্তে প্রবাহিত হয়ে দেহের চালিকাশক্তিতে সক্ষম রাখে। বাকি অংশ গ্লাইকোজেন রুপে যকৃতের মাংসপেশিতে জমা হয়। কিছু অংশ চর্বি জাতীয় পদার্থের পরিণত হয়ে চামড়ার নিচ এবং শরীরের অন্যান্য স্থানে সঞ্চিত হয়। এই সঞ্চিত গ্লুকোজ ও চর্বি উপবাসের কারণে পুনরায় গ্লুকোজ পরিণত হয়ে রক্তের মধ্যে প্রবাহিত হয়।

এই রুপান্তরিত গ্লুকোজ দেহের তাপ ও শক্তি পৃথিবীতে দ্বিগুণ সহায়তা করে। রোজা পালনের ফলে গ্লাইকোজেন ও চর্বি দরকার মতো খরচ হয়ে যায়। ফলে দেহের শক্তি ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়। ক্ষতিকর চর্বি জমতে পারে না। মেদ কমে গিয়ে শরীর সুগঠিত হয়। সিয়াম পালনের মাধ্যমে মানসিক শক্তি ও বিশেষ বিশেষ অনুভূতিগুলো জাগ্রত হয়। স্মরণশক্তি বাড়ে, প্রীতি ভালোবাসা, সহানুভূতি, অতীন্দ্রিয় এবং আধ্যাত্মিক শক্তির উন্মেষ ঘটে। সিয়াম পালনের কারণে মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্র সর্বাধিক উজ্জীবিত হয়।

রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস

মাহে রমজানের আগমনে বেহেশতের দরজা খুলে দেওয়া হয়। দোযখের দরজা বন্ধ করা হয় আর শয়তানকে করা হয় শৃঙ্খলিত -এটি একটি হাদিস এর ব্যাখ্যা ও পরিষ্কার। মাহে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। এ মাসে মুসলমানগণ প্রতিদিন রাত দিন ভরা ইবাদত বন্দেগী,জিকির,কোরআন তিলাওয়াত ও ইস্তেগফার এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী মাসসমূহের পাপ মোচন করিয়ে পরবর্তী মাসসমূহে শরীয়ত মোতাবেক জীবন যাপন করার আর্থিক ও মানসিক শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ লাভ করেন।

মুসলমানদের জীবনে এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আল্লাহ তা'আলা শয়তানকে শৃঙ্খলিত করে তার বান্দাদের নিরাপদে ইবাদত বন্দেগী করার সুযোগ দান করেন। ভয় ও নৈরাশ্য কাটিয়ে রমজান মাসে বিশেষ আমল ও আহকাম সমূহ অনুশীলনে উৎসাহ প্রদানের জন্য দুযোগের দরজা বন্ধ করে বেহেশতের দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয়। মাহে রমজানের বরকতেই ঈমানদার মানুষেরা এই সৌভাগ্য অর্জন করেন।

রমজান মাসের ইবাদতের সওয়াব নাকি অন্যান্য মাসের চেয়ে বহু গুণ বেশি-হ্যাঁ, রমজান মাসে যে কোন ইবাদতের জন্য অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। হাদিস শরীফে আছে, রমজান মাসে কোন নফল ইবাদত করলে ফরজের সমান সওয়াব পাওয়া যায় আর একটি ফরজ ইবাদতের জন্য সত্তর ফরজের সওয়াব মিলে।

রোজা পালনের দ্বারা কি দোযখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়-হ্যাঁ, রোজা মানুষকে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা করে। হাদিস শরীফে আছে, দোযখের আগুন থেকে বাঁচার জন্য রোজা ঢাল এবং মজবুত প্রাচীর স্বরূপ। ঢাল বা প্রাচীরের আশ্রয়ে মানুষ যেমন শত্রুর আক্রমণ হতে রক্ষা করে তদ্রূপ কোন লোক নিয়মিত সঠিকভাবে রোজা পালনের মাধ্যমে দোযখের শাস্তি হতে বাচার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে।

রোজা রাখার কারণে বিপদ-আপদ ও বালা মুসিবত দূর হয়-হ্যাঁ,ইখলাসের সাথে রোজা পালনকারী বিপদ আপদ ও বালা মুসিবত হতে রক্ষা পায়। সে উপলব্ধি না করতে পারলেও রোজা রাখার কারণে আল্লাহ তায়ালা তাকে অনেক বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করেন। হাদিস শরীফে আছে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা রোজা রাখো জানো না? দুজক হতে মুক্তি এবং বালা মুসিবত হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য রোজা ঢালস্বরূপ।

রোজাদার ব্যক্তি দিনের বেলা কি কি আমল করবে-রোজা রেখে সাংসারিক কাজ বা প্রয়োজনীয় সকল কাজকর্মই করা যায়। পানাহার যৌন ও অশ্লীল কাজকর্ম ছাড়া সকল হালাল কাজই রোজাদার করতে পারে। কাজ না থাকলে কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির ইত্যাদি করে সময় কাটানো অতি উত্তম। বিশ্রামের জন্য চুপ করে বসে থাকা কিংবা নিদ্রা যাওয়াও রোজাদারের জন্য ইবাদতের সমতুল্য।

 হাদিস শরীফ আছে, রোজাদারের নিদ্রা ইবাদতের সমতুল্য। তার নীরব থাকা তসবিহ পড়ার সমতুল্য। সে অল্প ইবাদত করেও অন্য সময়ের চেয়ে অনেক গুণ বেশি সওয়াবের অধিকারী হবে। তার দোয়া কবুল হয় এবং গুনাহ মাফ হয়।(বায়হাকি)

দোয়ার জন্য বিশেষ কোনো নির্ধারিত সময় আছে-না রোজাদার যেকোনো সময়েই আল্লাহর দরবারে দোয়া করতে পারে তবে ইফতারের সময় দোয়া করলে তা কবুল হয় বলে হাদিসে উল্লেখ করা রয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন বোঝার ব্যক্তিকে প্রতিদিন ইফতারের সময় এমন একটি দোয়া চেয়ে নেওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয় যা কবুল করে নেওয়ার বিশেষ ওয়াদা করা হয়েছে। (মুস্তাদরাকে হাকিম)

রোজা পালনের জন্য বিশেষ পুরস্কার

রোজা পালনের জন্য বিশেষ পুরস্কার-কোন বান্দার রোজা পালনের শুধুমাত্র আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হয়ে থাকে। বান্দা ইচ্ছা করলে জনসমক্ষে রোজার ভান করে গোপনে পানাহার চালিয়ে যেতে পারে।কিন্তু শুধুমাত্র আল্লাহর ভয় এবং রাসূলের নির্দেশ পালনার্থে সে রোজার মত একটা কঠিন ইবাদত করে থাকে।

এজন্য আল্লাহ তা'আলা বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা প্রদান করেছে। সেই সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ নিশ্চয়ই রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট হতে উত্তম নিঃসন্দেহে রোজাদার তার প্রবৃত্তি এবং পানাহারকে ত্যাগ করে। আমার জন্য ‌এই রোজা আর রোজা আমার জন্য আমি এর প্রতিদান দিব। প্রত্যেক নীতি প্রতিদান দশ থেকে সত্তর পর্যন্ত।

রমজান মাসের আমল

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে হবে। নিয়মিত সিয়াম পালন করতে হবে। সিয়াম পালনের সাথে সাথে নিয়মিত সালাত আদায় করা জান্নাতের শুগম পথ অনুসরণ করে। তারাবির সালাত আদায় করতে হবে। বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়তে হবে।

(ইস্তেগফারের বাংলা উচ্চারণ-আল্লাহুম্মা আনতা রব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা খলাকতানী ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাততু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুলাকা বিনিমাতিকা আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযামি্ব ফাগফিরলি ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরূয যুনূবা।) বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে। দান সাদকা করতে হবে। সময় মত ইফতার করতে হবে। সময় মত ইফতারের পাশাপাশি আজান দেওয়ার আগে সাহরি খেতে হবে।

লেখক এর মতামত

ইসলাম শান্তির ধর্ম। আমরা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করব। তাহলে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারব। প্রত্যেক মুসলিমের জন্য রোজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্রোক্লিন৬৯ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url