লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
চিরতরে খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত জেনে নিন। লেবুতে রয়েছে অন্যতম একটি উৎস ভিটামিন সি। লেবু একটি স্বাস্থ্যকর ফল যার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। লেবুর রস মিশানো পানি স্বাদে ও গুণে খুবই চমৎকার। আবার এটি পাকস্থলী ও অন্তরের নানা অংশের পাকরস তৈরি করতে সঞ্চারিত করে।
![]() |
লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নিন। |
লেবুর মাধ্যমে আমরা শরীরে ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণে এবং ওজন কমানোর পাশাপাশি পেতে পারে অনেক ধরনের মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমানোর উপায় এবং লেবু দেয়া ওজন কমানোর বিভিন্ন উপায় ও চেষ্টায় খুব দ্রুত সফল আনবে। শুধু লেবুই নয় তার সাথে কে কে খেলে ওজন কমবে সে সেগুলো নিয়েও আলোচনা করব।
ভূমিকা
প্রিয় বন্ধুগণ, আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে করতে পারেন তাহলে আপনারা জানতে পারবেন লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা। প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর জন্য অনেকে বিভিন্ন রকমের পোস্ট খুঁজে থাকেন। আবার কেউ লেবুতে ওজন কমানোর উপায় ইত্যাদি বিষয় দিয়ে সার্চ করে খোঁজেন। আজকের পোস্টটি তাদের জন্য যারা ওজন কমানোর জন্য খুব চিন্তিত। আজকের আর্টিকালে আমরা আলোচনা করব ঘুমানোর সহজ উপা।
লেবুর পুষ্টি উপাদান
প্রথমে জেনে নেই, লেবুর পুষ্টি উপাদান গুলো কি কি কাজ করে। লেবুকে বলা যায় সাইট্রাস বা টক জাতীয় ফল। এর পুষ্টির উপাদান গুলো নিম্নলিখিত করা হলোঃ-
লেবুর প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে,
- ক্যালসিয়াম ২৬ mg
- ম্যাগনেসিয়াম ৮ mg
- লোহা ০.৬ mg
- ভিটামিন সি ৫৩ mg
- প্রোটিন ১.১ g
- চিনি ২.৫ g
- খাদ্য আশ ২.৮
- শর্করা ৯ g
- পটাশিয়াম ১৩৮ mg
- সোডিয়াম ২ mg
- কোলেস্টেরল ০ mg
- লিপিড ০.৩ g
- ক্যালরি ২৮
- পাইডক্সিন ০.১ mg
উপরোক্ত উপাদান সবগুলোই লেবুর মধ্যে রয়েছে। লেবু আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
লেবু এক প্রকার প্রাকৃতিক ঔষধ, লেবুর গুণগত মান আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো। লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে কমবেশি সকলের ধারণা থাকলেও হয়তো বা সবাই ঠিক ভাবে জানে না। ওজন কমাতে লেবু তখনই কাজ করবে যখন আপনি প্রপার একটা ডায়েটের মধ্যে থাকবেন। অনেক ওজন কমানোর জন্য লেবুর সাহায্য নিয়ে থাকে কারণ লেবু দিয়ে ওজন কমানো যায়।
ব্যায়াম ও জিম করার পাশাপাশি খাবারের মধ্যে সঠিক নির্বাচন রাখতে হবে। কারণ খাবার নির্বাচন করে খেলে আমাদের ওজন কমানো সঠিক ভাবে কাজ করবে। প্রতিদিন আমাদের একটি করে লেবু খেতে হবে। লেবুতে ওজন কমানোর উপায় নিচের নিম্নলিখিত করা হলোঃ-
- লেবুতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি যা ওজন কমানোর সাথে সাথে আপনার শরীরের এনার্জি প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধি দেয়। আপনি যদি প্রতিদিন খালি পেটে একটি লেবু খান তাহলে এটা আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি সরবরাহ করবে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
- প্রতিদিন আমাদের লেবুর রস বা লেবুর রসের সাথে পানি মিশিয়ে পান করা উচিত। এতে আপনার শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত তক্তা পরিষ্কার করবে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করবে।
- আপনাকে প্রতিদিন ভালো মাত্রায় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। ওজন কমাতে লেবুর সাথে সমান্তরাল ভাল মাত্রায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। আপনার খাবারের রাখুন, মাছ, মাংস, ফল, সবজি ইত্যাদি গ্রামীন খাদ্যের উপস্থাপনাও থাকতে পারে। এটি আপনার শরীর সুস্থ এবং সতেজ রাখবে।
- লেবু খাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে। লেবু দ্বারা পাওয়া শক্তি ব্যবহার করে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। জিম সেন্টারে অথবা কোন নির্দিষ্ট জায়গা ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীর অতিরিক্ত ক্যালরি উড়িয়ে দেন এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করুন।
- প্রতিদিন সকালে লেবুর শরবত/মধু মেশানো লেভেল পানি পান করা উচিত। ৪০০ মিলি হালকা গরম পানিতে ২চা চামচ তাতে হালকা মধু দিয়ে পান করুন। এতে খুদা কম লাগবে, খুদা কম লাগায় অতিরিক্ত ক্যালরি জমে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
লেবু খাওয়ার উপকারিতা
পুষ্টি পাওয়ার হাউস হিসেবে বিবেচিত সাইট্রাস বা লেবুজাতীয় ফলগুলো ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানের একটি সমৃদ্ধ উৎস। এতে ভিটামিন 'সি'-সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে। যা কোষের ক্ষতি থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। নিচে তা নিম্নলিখিত করা হলোঃ-
ওজন কমাতে সাহায্য করে
লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জল দ্রবণীয় পেক্টিন তন্ত্র। লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিড, ভিটামিন সি ওজন কমাতে সাহায্য করে। লেবুর সাইট্রিক এসিড অতিরিক্ত খাওয়ার মত কমে যায়। সেই কারণে প্রতিদিন লেবু জলে পান করলে আপনার অল্প খেলে পেট ভরা অনুভূত হবে এবং আপনার খোদা কমে যাবে। যেটা আপনার ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।
কিডনির পাথর দূর করে
লেভূতি উপস্থিত থাকার লবণ এবং সাইট্রিক এসিড কিডনিতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট নামক এক ধরনের পাথর গঠনে বাধা দিয়ে থাকে। এই সাইট্রিক এসিড কিডনিতে পাথর প্রতিরোধের পাশাপাশি জমে থাকা পাথর বের করতে সাহায্য করে। সেজন্য আমাদের নিয়মিত লেবুর রস সেবন করতে হবে, তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
হজম শক্তি বাড়ায়
লেবু পানিতে যে এসিড রয়েছে তা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এতে আছে সাইট্রাস ফ্লাভোনইডস যা পাকস্থলীতে খাবারকে ভেঙ্গে সহজেই হজম করতে সাহায্য করে। লেবুর রস হজম শক্তি বৃদ্ধি করার সাথে সাথে পরিপাক তন্ত্র থেকে বর্জ্য উপাদান সব বের করে দিয়ে থাকে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
লেবুতে থাকা বিভিন্ন ধরনের উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য লেবুর রস খুবই কার্যকরী। লেবু ভিটামিন সি তে পরিপূর্ণ থাকার পাশাপাশি ফ্লেভানয়েড নামে এক ধরনের আন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরে উৎপন্ন হওয়া ফ্রি রেডিক্যাল গুলোকে নিউট্রিলাইজ করে বা বাইরে বের করে শরীরকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচায়। নিয়মিত লেবু জল পান করলে আপনার শরীরে ক্যান্সারের প্রবণতা অনেকটা কমে যাবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করে। স্নায়ু ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায় এবং ফুসফুস পরিষ্কার করে, হাঁপানি সমস্যার উপশম করে।
এছাড়াও লেবু আরও বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। লেবু আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী, তাই প্রতিদিন আমরা লেবু খেতে পারি।
লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক, লেবুর উপকারিতা অপরীসিম। লেবু আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সেবায় ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি নিয়মিত লেবুর রস বা লেবুর রস এবং পানি মিশ্রিত করে পান করেন, তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাবেন। আজকের আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসলে, আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। যাতে করে তাদেরও লেবুর উপকারিতা ও স্বাস্থ্য সেবার দিক গুলো জেনে থাকে। ধন্যবাদ!
ব্রোক্লিন৬৯ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url