কোন মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়
কোন কোন শাক-সবজি খেলে এলার্জি হয়প্রিয় কৃষক ভাই ও বোনেরা, কোন মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয় তা আপনারা সঠিক ভাবে অনেকেই জানেন না। আজকের আর্টিকেলে কোন মাসে কোন সবজি চাষ করা হয় সে বিষয়ে যে আলোচনা করব। আমাদের বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ হিসেবে পরিচিত।
ঋতু বৈচিত্র্যের কারণে এদেশের মাটিতে নানা রকম ফল ও সবজি ফলে। আর আমাদের দেশের কৃষির মৌসুম মূলত তিনটি। যথাঃ- খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি। এই তিনটি মৌসুমে আমাদের দেশে ফসল ও সবজি ফলন থাকে। কিন্তু কিছু কিছু ফসল এমন রয়েছে যেগুলো আপনি ১২ মাসে কাজ করতে পারবেন। ভৌগলিক অবস্থান, আবহাওয়া কিংবা জলবায়ু অথবা মানুষের প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে প্রতি মাসে বাড়তি ফসল চাষ করা।
ভূমিকা
আজকে রাতে গেলে আমরা জানব কোন মাসে কোন সবচেয়ে চাষ করতে হয়। বারামাসি সবজির তালিকায় আমাদের বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ হিসেবে পরিচিত। ঋতু বৈচিত্র্যের কারণে এই দেশের মাটিতে ফলে নানা রকম ফল ও সবজি। আমাদের দেশে সাধারণত তিনটি মৌসুমে ফসল ফলে। আমাদের দেশে একজন ব্যক্তির প্রতিদিনে শাকসবজি চাহিদা ঘরে ২১৩ গ্রাম। কিন্তু আমরা বাংলাদেশীরা গড়ে মাত্র ৫৫ গ্রাম সবজি খাই।
সেজন্য আমাদের শরীরের ভিটামিন ও পুষ্টির সংকট থাকে। শাকসবজি এবং ফলমূল ভিটামিন এবং খনিজ গুলোর অন্যতম প্রধান উৎস। সে কারণে আমাদের সবজি চাষের তীব্রতা বাইরে সবজির ব্যবহার বাড়াতে হবে। কোন মাসে কোন ছবির চাষ করতে হয় তা যদি আমাদের জানা থাকে এতে সকল কৃষক এবং গৃহিণীদের সুবিধা হয়। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কোন মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়।
বাংলার কোন মাসে কোন ফসল ভালো জন্মে
সবজি চাষের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি মাস খেয়াল রেখে বীজ রোপন করা উচিত। তাহলে আপনার ফলন অনেক ভালো হবে। কারণ প্রতিটা সবজির একটা করে সময় থাকে, যেটা যে সময় ভালো ফলন দেয়। তাহলে চলুন দেখে নেই কোন মাসে কোন সবজি চাষ করা হয়।
বৈশাখ মাসের সবজি চাষের তালিকা
- ঢেঁড়স, পাতা পেঁয়াজ, পাটশাক, গিমাকলমি, ডাঁটা, লালশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ ইত্যাদি এটি বীজ বপনের উত্তম। এছাড়াও এর সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চারাও রোপন করা যায়।
- চালকুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, করলা, ধুন্দুল, চিচিংগা, ঝিঙ্গা, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে পারেন। কুমড়া জাতীয় সবজির পোকা মাকড় দমনের ব্যবস্থা ও শেষ প্রদান করতে হবে। এতে করে ভালো ফলন দিতে সক্ষম হবেন।
- খরিফ-১ মৌসুমে সবজির বীজ বপন, লাল শাক, পুই শাক, ডাটা, চারা রোপন ইত্যাদি ফসল ফলে। এছাড়াও বরবটি ফসল সংগ্রহ করতে পারেন।
- খরিফ-২ এ সময় সবজির বেড ও চারা তৈরি করতে হবে। এছাড়াও কচি সজিনা, বাঙ্গি, তরমুজ ইত্যাদি সংগ্রহ করতে পারেন।
- আবার আপনাকে ফল চাষের জন্য স্থান নির্বাচন করতে হবে। উন্নত জাতের ফলের চারা বা কলম সংগ্রহ করতে হবে, পুরনো ফল গাছের সুষম সার প্রয়োগ ও ফলন্ত গাছের শেষ প্রদান করতে হবে।
- আগে আপনাকে বীজতলায় বপনকৃত খরিফ-২ এর সবজির চারা রোপণ, সেচ ও স্যার প্রয়োগ পরিচর্চা করতে হবে।
- সজিনা সংগ্রহ করতে হবে এবং গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চারা রোপণ ও পাশাপাশি পরিচর্চা করতে হবে।
- পটল, কাকরোল, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল সংগ্রহ করতে হবে এবং পোকামাকড় দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
- নাবীকুমড়া জাতীয় ফসলের মাত্রা তৈরি, সেচ দিতে হবে এবং সার প্রয়োগ করতে হবে।
- ফলের চারা রোপণের গর্ত প্রস্তুত ও বয়স্ক ফল গাছের সুষুম সার প্রয়োগ করতে হবে। আবার ফলন্ত গাছের ফল সংগ্রহ করতে হবে এবং বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
- এ সময়টা গ্রীষ্মকালীন বেগুন, টমেটো, শিমের বীজ বপন, কাঁচা মরিচের পরিচর্যা, কুমড়া জাতীয় সবজির পোকামাকড়, রোগ বালাই দমন করতে হবে।
- আপনার আগে লাগানো বেগুন, ঢেরস ও টমেটোর বাগান থেকে ফসল সংগ্রহ করে নিতে হবে।
- খরিফ-২ সবজির চারা রোপন ও পরিচর্যা, সেচ, সার প্রয়োগ করতে হবে।
- ফলসহ ওষুধে গাছের চারা বা কলম রোপন, খুঁটি দিয়ে চারা বেঁধে দেওয়া, খাচা বা বেড়া দেওয়া ও ফল গাছে সুষুম সার প্রয়োগ করতে হবে।
- আগাম রবি সবজি যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লাউ, বেগুনের বীজ তলা তৈরি, বীজ বপন শুরু করা যেতে পারে।
- আবার এছাড়াও শিমের বীজ বপন, লালশাক ও পালংশাকের বীজ বপন করতে হবে।
- খরিফ-২ এর সবজি উঠানো ও পোকামাকড় দমন করা দরকার।
- রোপনকৃত ফলের চারা পরিচর্যা, উন্নত চারা বা কলম রোপন, খুঁটি দেওয়া, খাচি বা বেড়া দেওয়া, ফলন্ত গাছের ফল সংগ্রহ করতে হবে।
- খরিফ-২ সবজি সংগ্রহ, বীজ আমাদের সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
- আগাম রবি সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, বেগুন, কুমড়ায, লাউয়ের জমি তৈরি, চারা রোপন ও সারপ্রক ইত্যাদি করতে হবে।
- মধ্যম ও নাবী রবি সবজির বীজ তলা তৈরি ও বীজ বপন করতে হবে।
- আগে লাগানোর ফলের চারার পরিচর্যাসহ ফলের উন্নত চারা বা কলম লাগানো, খুঁটি দেওয়া, বেড়া দিয়ে চারা গাছ সংরক্ষণ, ফল সংগ্রহের পর গাছের অঙ্গ গুলো ছাটাই করে দিতে হবে।
- এই সময়টাতে লাউ, শিম, বরবটির মাচা তৈরি ও পরিচর্যা করা প্রয়োজন।
- রসুন, পেঁয়াজের বীজ বপন, আলু লাগাতে হবে।
- আগাম রবি সবজির চারা রোপন, চারার যত্ন, সেচ, সার প্রয়োগ, বালাই দমন করতে হবে।
- নাবী রবি সবজির বীজতলা তৈরি, বীজবপন, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি, আগাম টমেটোর আগাছা দমন করতে হবে।
- ফল গাছের গোড়ায় মাটি দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার ও সার প্রয়োগ করতে হবে।
- বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপির গোড়া বাধা ও আগাছা পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
- মরিচের বীজ বপন ও চারা রোপন করা প্রয়োজন।
- নাবী রবি সবজির চারা উৎপাদন, জমির তৈরি এবং চারা লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
- আলুর কেইল বাঁধা ও আগাম রবি সবজির পরিচর্যা এবং সংগ্রহ করতে হবে।
- মধ্যম রবি সবজি পরিচর্যা, সারপ্র প্রয়োগ ও সেচ প্রদান করতে হবে।
- ফল গাছের পরিচর্যা, সার প্রয়োগ না করে থাকলে সার ব্যবহার ও মালচিং করে মাটিতে রস সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
- ফল গাছের মালচিং এবং পরিমিত সার প্রয়োগ করা খুবই প্রয়োজন।
- মিষ্টি আলুর লতা রোপণ, পেঁয়াজ, রসুন ও মরিচের চারা রোপন, পূর্বের রোপনকৃত লতার পরিচর্যা, আলুর জমিতে সার প্রয়োগ, সেচ প্রধান ইত্যাদি করা প্রয়োজন।
- এছাড়াও অন্যান্য রবি ফসল যেমন বাঁধাকপি, ওলকপি, ফুলকপি, বেগুন, টমেটো, শালগমের চারা যত্ন, সার প্রয়োগ, সেচ প্রধান, আগাছা পরিষ্কার ও সবজির সংগ্রহ করতে হবে।
- নাবী রবি সবজির পরিচর্যা, ফল গাছের পোকামাকড়, রোগ বালাই দমন এবং অন্যান্য পরিচর্যা করতে হবে।
- আগাম ও মধ্যম রবি সবজির পোকামাকড়, রোগ বালাই দমন ও সবজির সংগ্রহ করতে হবে।
- যারা বাণিজ্যিকভাবে মৌসুমী ফুলে চাষ করতে চান তাদের এ সময় ফুল গাছের বেশি যত্ন নিতে হবে।
- এছাড়াও বিশেষ করে সারের উপরি প্রয়োগ করতে হবে। যাতে করে ফুলের উপর কোন পোকামাকড় আক্রান্ত করতে না পারে।
- আগাম খরিফ-১ সবজির বীজতলা তৈরি বা মাদা তৈরি বা বীজ বপন করা প্রয়োজন।
- আলু, পেঁয়াজ, রসুনের গোড়ায় মাটি তুলে দেওয়া, সেচ, সার প্রয়োগ, ফল ছাটা ও টমেটো ডাল, মধ্যম ও নাবী রবি সবজির সেচ, সার, গোড়া বাধা ও মাচা দিতে হবে।
- ফল গাছের পোকামাকড়, রোগ বালাই দমন ও অন্যান্য পরিচর্যা করতে হবে।
- বীজ তলায় চারা উৎপাদনে বেশি সচেতন হতে হবে। কারণ সুস্থ সবল রোগমুক্ত চারা রোপন করতে পারলে পরবর্তী সময়ে অনায়াসে ভালো ফসল বা ফলন আশা করা যাবে।
- ফল গাছের গোড়ায় রস কম থাকলে মাঝে মধ্যে সেচ প্রদান, পোকামাকড় রোগ বালাই দমন করা প্রয়োজন।
- নাবী খরিফ-১ সবজির বীজতলা তৈরি, মাদা তৈরি, বীজ বপন, ঢেড়স, ডাটা লাল শাকের বীজ বপন করা প্রয়োজন।
- আগাম খরিফ-১ সবজির চারা উৎপাদন ও মূল জমি তৈরি, ছাড় প্রয়োগ ও রোপন করতে হবে।
- আলু, মিষ্টি আলু সংগ্রহ, রবি সবজির বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বাগানের অন্যান্য ফসলের পরিচর্যা করতে হবে। আলোর সংরক্ষণে বেশি যত্নবান হওয়া উচিত। এতে এ ক্ষেত্রে জমিতে আলু গাছের বয়স ৯০ দিন হলে মাটির সমান করে সমুদায় গাছ কেটে গর্তে আবর্জনা সার তৈরি করা প্রয়োজন।
- আলু সঠিক ভাবে ফলন হওয়ার পর আরো ১০ দিন নিচেই রাখুন, অর্থাৎ রোপনের ১০০ দিন পর আলু গুলো তুলতে হবে।
- গ্রীষ্মকালীন বেগুন, টমেটো, মরিচের বীজ বপন বা চারা রোপন করা প্রয়োজন.
- নাবী জাতের বীজ তলা তৈরি ও বীজ বপন করা দরকার।
- যেসব সবজির চারা তৈরি করা হয়ে থাকে, সেগুলো মূল জমিতে রোপণ করতে হবে।
- নাবী রবি সবজি উঠানো, বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে।
- সবজি ক্ষেতের আগাছা দমন, সেচ ও সার প্রয়োগ, কুমড়া জাতীয় সবজির পোকামাকড় ও রোগ বালাই দমন করতে হবে।
- মাটিতে রসের ঘাটতি হলে ফলের গুটি ভাগ করা ঝরে যায়, সেজন্য এ সময় প্রয়োজনীয় সেচ প্রদান, পোকামাকড় রোগবালায় দমন করা উচিত।
ইংরেজির কোন মাসে কোন ফসল ভালো জন্মে
সবজি চাষের জন্য সময় এবং ধৈর্য লাগে, তাই যত বেশি যত্নবান হবেন সবজি তত বেশি ভালো চাষ হবে বলা যায়। নিজে নিম্নলিখিত ইংরেজির কোন মাসে কোন ফসল ভালো জন্য সেগুলো আলোচনা করা হলোঃ-
জানুয়ারি মাসের সবজি তালিকা
- আলু
- বাঁধাকপি
- ফুলকপি
- মুলা
- শালগম
- মাশরুম
- পালং শাক
- গাজর
- মটরশুটি
- বিট
- পেঁয়াজ
- রসুন
- টমেটো
ফেব্রুয়ারি মাসের সবজির তালিকায়
ফেব্রুয়ারি মাসটি হলো বসন্তের বাগান হিসেবেও পরিচিত। এই সময়টা বাইরের বায়ুমন্ডল ঠান্ডা থাকে, এটি একটি শীতের মাস।
- গাজর
- লেটুস
- মটর
- পালংশাক
- রসুন
- প্রারম্ভিক আলু
- টমেটো বীজ
- তুলসি
- ফুলকপি
- মিষ্টি মরিচ
- ব্রাসিকাস
- মটর
- শসা
- শ্যালটস
- গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি
- মূলা
- সবুজ সালাদ এর পেঁয়াজ
- আগাম বিটরুট
- বিস্তিরিত মটরশুটি
জানুয়ারি মাসের মতই ফেব্রুয়ারি মাস শীতকালীন মাস। সেজন্য জানুয়ারি মাসের কিছু সবজিও ফেব্রুয়ারি মাসে চাষ করা হয়।
মার্চ মাস একটি সবজি চাষের জন্য সবচেয়ে উত্তম সময়। কারণ এ সময় হালকা হালকা গরম ছোট হয় এবং হালকা ঠান্ডা ও হালকা গরম আবহাওয়া থাকায় ফসলের চাষ ভালো থাকে।
- ধনিয়া
- মিষ্টি মরিচ
- কাঁচামরিচ
- ব্রাসেল স্প্রাউট
- শসা
- ফুলকপি
- পার্সনিপস
- শালগম
- মটর
- ব্রকলি
- পালং শাক
- প্রারম্ভিক শালগম
- মুলা
- লেটুস
মার্চ মাসটি শীতকালীন আবহাওয়ায় অন্তর্ভুক্ত থাকায় শীত জাতীয় ফলন ফলে। আর এ সময় সবজি সবথেকে ভালো ফলন দেয়।
এপ্রিল মাসের সবজির তালিকা
বলা যায় এপ্রিল মাস থেকেই বসন্ত শুরু হয়। এ সময় মাটির সুন্দরভাবে উষ্ণ হয় এবং সবকিছু দূরের ক্রমবর্ধমান থাকে। আর এ সময়টা তো ভালো সবজি চাষ হয়।
- সবুজ পেঁয়াজ
- মিষ্টি ডাল
- বেল মরিচ
- পালং শাক
- ব্রাসেলস স্প্রাউট
- রুবার্ব
- ভুট্টা
- বিট
- ব্রকলি
- কালে
- আলু
- ফুলকপি
- বাঁধাকপি
- শালগম
মে মাস অর্থাৎ গ্রীষ্মের সময় কঠোর সূর্যের রশ্মি মধ্যে চাষবাদ করতে হয়। কৃষকরা একটি মোকাবেলা করার জন্য বিভিন্ন উপায় খুঁজে পেয়েছে কিন্তু আমাদের সবজির বাগান গুলি শেষ পর্যন্ত কঠোর সূর্যের রশ্মি গ্রহণ করে। এমনকি সূর্যলোক সমস্ত উদ্ভিদের দ্বারা উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় যেগুলো অতিরিক্ত সূর্যালোক উন্নতি করতে পারে না। এ মাসটিও সবজি চাষের জন্য উত্তম ভূমিকা পালন করে।
- জুচিনি স্কোয়াশ
- মিষ্টি আলু
- সবুজ মটরশুটি
- ডিল
- সবুজ পেঁয়াজ
- ফুলকপি
- মালাবার পালং শাক
- ব্রকলি
- তরমুজ
- বেগুন
- ক্যাপসিকাম
- টমেটো
- ভুট্টা
- আদা
- লেটুস
- শসা
- মটরশুটি
জুন মাস এমন একটি মাস, এ মাসে বিভিন্ন জায়গার গড় তাপমাত্রা বিভিন্ন রকম থাকে। সেজন্য আপনাকে প্রথমে নির্বাচন করে নিতে হবে আপনার এলাকার মাটির গড়ের তাপমাত্রা কত এবং তারপরই সবজি চাষ করা উচিত। একটি সফল সবজি বাগান বৃদ্ধির সাথে সঠিক সময় নির্ধারণ করা উচিত। সঠিক সময়ে সঠিক বীজ বপন করার এর সর্বোত্তম ভাবে ব্যবহার করে নিতে হবে। এর ফলে আপনার ফসল বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। তাই কয়েকটি সবজি চাষের তালিকা দেওয়া হলঃ-
- আলু
- শসা
- গাজর
- মরিচ
- সবুজ মটরশুটি
- স্কোয়াশ
- পালংশাক
- কুমড়া
- পার্সনিপ
- আর্গুলা
জুলাই মাসে শাকসবজি এবং ভেষজ রোপন হতে খুব বেশি দেরি হয় না। এ সময় অনেক গুলো ভোজ্য, যার মধ্যে শাকসবজি এবং ভেষজ উপরে রয়েছে। যা একাধিক ফসল দেয় এবং ফল দাহক অনুগ্রহের জন্য গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময় রোপন করা যেতে পারে।
- মিষ্টি আলু
- মুলা
- লেটুস
- ধনেপাতা
- বাঁধাকপি
- গাজর
- ব্রাসেলস স্প্রাউট
- বিট
- ব্রকলি
- মটরশুঁটি
- পালং শাক
- পুদিনা
- শালগম
- পেঁয়াজ
- রসুন
- ভুট্টা
- শসা
- বেগুন
- তরমুজ
আগস্ট মাস সবজি চাষের জন্য অনেক বড় সুযোগের একটি মাস। এ সময় প্রধানত হল বসন্ত, এই সময়ে বপন এর কাজ ভালো হয়, কিন্তু উচ্চ গ্রীষ্মকাল একটি কাছাকাছি দ্বিতীয় ধাপ বলা যায়।
- গাজর
- বিট
- শালগম
- মুলা
- সরিষা
- কেল
- কলার্ড
- পালং শাক
- লেটুস
সেপ্টেম্বর মাসের সবজির তালিকা
সেপ্টেম্বর মাসের সময়টা বর্ষা শেষ হয় এবং শরৎ এর দিকে স্থানান্তরিত হয়। এই মাসে বেশির ভাগ গাছপালা বাজারে আসে এবং বীজও পাওয়া যায়। এছাড়াও সেপ্টেম্বর মাসের অর্ধেক থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বেশির ভাগ খরিফ ফসল কাটা হয়।
- আলু
- মুলা
- সেলারি
- ধনেপাতা
- বাঁধাকপি
- কোহলবারি
- মটরশুটি
- বিটরুট
- গাজর
- লেটুস
- শালগম
- পালং শাক
- ফুলকপি
- বাঁধাকপি
- লেটুস
- সুইট চার্ড
- ব্রকলি
- ব্রাসেলস স্প্রাউট
- কেল
- কোহলবারি
- পালং শাক
নভেম্বর মাসের সবজির তালিকা
নভেম্বর মাসের শেষের দিকে শীতকালীন আবহাওয়া বয়ে বেড়ায়। এ সময়টা রোপণের সর্বোচ্চ সময় নয়, তবুও প্রচুর শাকসবজি বেঁচে থাকতে পারে এবং একটি ভালো ফসল ফলাতে সক্ষম হওয়া যায়।
- পেঁয়াজ
- রসুন
- সরিষা শাক
- পালং শাক
- মূলা
- লেটুস
- ব্রকলি
- কালে
- কহলবারি
- বিটরুট
- ফুলকপি
- বাঁধাকপি
ডিসেম্বর মাসে শীতের বৈষম্য শুরু হয়। এই সময়টাতে শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়ে থাকে।
- শালগম
- শ্যালুট
- মূলা
- মটর
- পেঁয়াজ
- সরিষা
- লেটুস
- লিক
- কোলবারি
- কেল
- পেঁয়াজ
- রসুন
- এন্ডাইভ
- কলার্ড
- চাইনিজ বাঁধাকপি
- সেলারি
- ফুলকপি
- গাজর
- বিট
- ব্রকলি
বারোমাসি সবজি চাষের তালিকা
প্রিয় কৃষক ভাই ও বোনেরা, যারা বারোমাসি শাকসবজি চাষ করতে চান তাদের জন্য আজকের পোস্ট। কোন কোন সবজি সারা বছর বা ১২ মাসের চাষ করা যায় তার একটি তালিকা নিচের নিম্নলিখিত করা হলোঃ-
- পেঁপে
- ধনেপাতা
- ঢেরস
- পুঁইশাক
- লাল শাক
- ডাটা শাক
- টমেটো
- চাল কুমড়া
- মিষ্টি কুমড়া
- করলা
- ক্যাপসিকাম
- লঙ্কা
- শসা
- লাউ
- বেগম
লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক, উপরোক্ত আলোচনা কোন মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয়, সে বিষয় নিয়ে বড় একটা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। উপরোক্ত চাষের তালিকা গুলোর শাক-সবজি প্রতিটি মাসের সাথে মিলিয়ে চাষ করেন তাহলে ভালো ফলন পাবেন। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনার উপকার হয়েছে, এটি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করুন। ধন্যবাদ!
ব্রোক্লিন৬৯ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url