যে সব খাবার খেলে শীতকালে সুস্থ থাকবেন

নিজেকে পরিবর্তন করার উপায় জেনে নিনশীতকালে শরীরকে সুস্থ রাখা ও সতেজ রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ সময় বিভিন্ন কারণে ঠান্ডা লাগা, কাশি, গলা ব্যথা ও স্কিনের নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। এইসব সমস্যা যাতে আপনাকে কাবু করতে না পারে সেই জন্য নিয়মিত কিছু পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। শীতের জন্য বিশেষ ধরনের খাবার আছে যা দেহের শক্তি বৃদ্ধি করতে ও বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
যে সব খাবার খেলে শীতকালে সুস্থ থাকবেন
যে সব খাবার খেলে শীতকালে সুস্থ থাকবেন 


শরীরের যত্নের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করে শীত ভোগ করার জন্য নিয়মিত কিছু খাবার খাওয়া দরকার। তাই আজকে আমরা জানব শীতকালে কোন খাবারগুলি অবশ্যই খাওয়া উচিত যা
আপনাকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।

ভূমিকা

শীতকালে যেসব খাবার খেলে আমরা সুখে থাকব সেসব খাবার খাওয়া আমাদের খুবই দরকার। তা না হলে আমরা সুস্থ থাকবো না এবং পুরো শীত আমরা উপভোগ করতে পারবো না। সেজন্য আমাদের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে যাতে করে আমরা শীত টি ভালোভাবে উপভোগ করতে পারি। এগুলা সবকিছু জানতে আপনারা এই পুরো পোস্টটি পড়তে থাকুন বন্ধুরা,,,,,

খাবার গুলোর তালিকা করা হলো

ডিমঃ ডিমটা আমাদের সিদ্ধ করে খাইতে হবে। শীতের শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে ওর সতেজ রাখতে সিদ্ধ ডিমের ভূমিকা অন‍্যবদ্ধ। ডিম পুরো বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি খাবার। এটিতে রয়েছে অনেক কার্যকরী উপাদান যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ডিমের হয়েছে ৯টি প্রয়োজনীয় আম্যাইনোসিট বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন। যেমনঃ


➤ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
➤ ভিটামিন এ
➤ ভিটামিন ই
➤ জিংক
➤ ফসফরাস


এছাড়াও রয়েছে টিমে প্রচুর পটিন যা আমাদের দেহে জন্য খুবই কার্যকরী। এখানে শেষ নয় ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও আইরন। বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ডিম যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা রাখে। শীতের খাবার হিসেবে প্রতিদিনে খাবার তালিকায় ডিম রাখতেই পারে। তবে উপযুক্ত উপকার পেতে অবশ্যই সেদ্ধ করে নিয়মিত সকালে খেতে হবে।

গাজরঃ শীতকালীন খাবারের মধ্যে গাজর হচ্ছে অন্যতম গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। বাজারে রয়েছে সরকরা, প্রোটিন, ফাইবার, ফাইমিন, ভিটামিন বি সিক্স, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, আইরন, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম ইত্যাদিরএই জন্য এটি একটি পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে অন্যতম।
এছাড়াও গাজরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটাক্যারোটিন এটি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে তাই শীতকাল নিয়মিত গাজর খাওয়া উচিত।

পালং শাকঃ শীতের বাজারে প্রচুর পরিমাণে পালংশাক পাওয়া যায় রূপ প্রতিরোধ করতে ক্ষমতা বাড়ায় শীতে সুস্থ থাকতে পালং শাক খেতে পারেন। পুষ্টি তে ভরপুর পালং শাক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার প্রতিরোধ হিসেবে এটিও সুপার ফুড হিসেবে বলা যায়। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়।

এছাড়াও পালং শাক পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই ওজন কমাতে বেশি করে পালং শাক রাখতে পারেন।গবেষণায় দেখা গেছে যাদের ওজন বেশি নিয়মিত পালং শাক খেলে ব্যক্তি ওজন কমে যায়।

খাটি মধুঃ শীতের আরেক একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে খাঁটি মধু। শীতের সময় দেহকে সুস্থ ও ভালো রাখতে মধুর ভূমিকা অন্যবদ্ধ। মধু অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে থাকে প্রায় সব ডাক্তারই শীতের সময় মধুখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। জ্বর ও ঠান্ডা প্রতিরোধে মধু সব চেয়ে নিরাপদ খাবার। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিক ব্যাকটেরিয়াল উপাদান এটি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।তাই ঘুমানোর আগে ও সকালে ব্রেকফাস্ট এর সময় নিয়মিত মধু খেতে পারেন।

গ্রিন টিঃ গ্রিন টিতে রয়েছে শক্তিশালী আন্টি অক্সিডেন্ট ও আন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শীতের সময় ২-৩ কাপ গ্রিন টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ প্রসঙ্গে একটি কথা বলে রাখি গ্রিন টি কখনোই খালি পেটে খেতে যাবেন না। সকালে বা বিকেলে হালকা কিছু খাওয়ার পর আপনি গ্রীন টি খেতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আপনি সুস্থ আছেন।

স্যুপঃ শীতের শরীর সুস্থ রাখতে স্যুপ দারুণ উপকারি শীতেই মিলে স্যুপের আসল মজা। শীতের সকালে বা রাতে ধোঁয়া ওঠা স্যুপের উপর বাটি হলে কিন্তু মন্দ হয় না। এতে শরীর থেকে একটু হলেও কাটবে ঠান্ডার রেস, শরীর সুস্থ রাখতে ঠান্ডার সময় নানান সবজি দিয়ে স্যুপ বানায়ে খেতে পারেন।

শাক-সবজিঃ শীতের সময় অনেক ধরনের শাক-সবজি পাওয়া যায়। যেমন লাল শাক, মুলা শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি পাওয়া যায়। শীতের সময় এগুলো সবচেয়ে বেশি খাওয়া প্রয়োজন। কারণে এই সব শাক-সবজি গুলোতে রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম সহ আরো কার্যকর উপাদান। যা শরীর সুস্থ রাখতে শক্তি বৃদ্ধি করতে ও শরীরের গঠন বাড়াতে ও মন সতেজ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও শীতের শাক-সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এই শীতের পুরোটা ধরে প্রচুর পরিমাণ শাক-সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

বাদামঃ বিভিন্ন রকমের বাদাম যেমন চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, আখরোট ইত্যাদি এগুলো খেতে পারেন। এসব খাবারে ভালো কোলেস্টেরল, ভিটামিন, ফাইবার ও ওমেগা থ্রি বাটিয়া সিট প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে এবং শীতের সময় আপনাকে চাঙ্গা রাখবে। এছাড়াও কমলালেবু খায়বার যুক্ত আদা ব্রোকলি ইত্যাদি খাবার খেতে পারেন।
তাহলে বুঝতেই পারছেন শীতকালে কোন খাবারগুলো অবশ্যই খাওয়া উচিত যা আপনাকে সুস্থ ও সতেজ থাকতে সাহায্য করবে।

শীতে যেসব খাবার খেলে শরীল মনকে চাঙ্গা করবে

শীতের যেসব খাবার শরীর ও মনকে চাঙ্গা করবে প্রকৃতিতে শীত আসন্ন। প্রকৃতির সাথে সাথে শরীর ও মন বসবে পরিবর্তন মৌসুমী পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের খাবারের তালিকা আসবে রং বদল। শীতের সময় এমন খাবার খেলতে রাখা উচিত যা শরীর ও মন দুটোই ভালো রাখে। তুমি সুস্থ রাখার জন্য শীতকালে আপনি বেছে নিতে পারেন এমন কিছু খাবার। যেমনঃ

কমলাঃ আপনারা খেয়াল করবেন যে শীতের সময় পাওয়া সাইটারাস ফলগুলো বেশি মিষ্টি এবং রসালো হয় তা খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো শীত। কমলাতে যে ভিটামিন সি রয়েছে তা আপনাকে প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তিশালী ওই সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। শীতকালে যেহেতু ফলের পরিমান বেশি থাকে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কমলা।

আদাঃ আমাদের তরকারি রান্না থেকে শুরু করে চা পর্যন্ত বহুমুখী একটি উপাদান যা এখান থেকে উপায়ে ব্যবহার করা যায়। ঠান্ডা ও ফুল এর অন্যতম অধিকার থাকে আদায়। আধাতে এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গলাবে তা পশমিত করতে পারে এবং সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। শীতকালে প্রায় আমাদের সর্দি-কাশি লেগেই থাকে সে ক্ষেত্রে ওষুধ হিসেবে কাজ করে আদা। শীতকালে আদা আপনার ডাইটও আদার যোগ করা উচিত।

ব্রকলিঃ শীতের সময় বাজারে ব্রকলি ছেয়ে যায় ব্রকলির গুনের কথায় বলে শেষ করা যাবে না ভিটামিন মিনারেলের পাওয়ার হাউজ বলা হয় ব্রকলিকে। ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, কে, এ এবং ভিটামিন বি৯ রয়েছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় মিনারেল আছে যেমন পটাসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। নিয়মিত ব্রকলি খেলে আপনি সুস্থ থাকবেন এবং যেকোনো ভিটামিনের ঘাটতিতে ভুক্তি থাকবে না উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহের কোষের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দেয় এবং আমাদের অঙ্গগুলো সুষ্ঠ ভাবে কাজ করে তার নিশ্চিত করে।

বিটরুটঃ শীতকালে হাতের নাগালে পাওয়া যায় বিটরুট এর উজ্জ্বল লাল রং এবং এর মিষ্টি স্বাদের জন্য বিটরুট পরিচিত। উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করে বিটরুট। একইভাবে যারা নিয়মিত পরিশ্রম করে তাদের জন্য নাইট্রেট খাওয়া ভালো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্রোক্লিন৬৯ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url