ফ্রিলান্সিং এ কিভাবে আমরা তারাতারি উন্নতি করতে পারব
২০২৩ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন শিক্ষা পদ্ধতিআপনি অনলাইনে একটি ক্যারিয়ার ডেভলপ করতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এ যোগ দিন। কিন্তু বুঝতে পারতেছেন না কিভাবে? ফ্রিলান্সিং ইন্ডাস্ট্রি কিভাবে কাজ করে এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ততার মাঝে কিভাবে কাজ করে। আপনি নিজেই ইন্ডাস্ট্রিতে একটি ভালো ক্যারিয়ার করতে পারবেন এটি করার জন্য আপনার লজ্জা এবং সময়ের দরকার।
![]() |
ফ্রিলান্সিং এ কিভাবে আমরা তারাতারি উন্নতি করতে পারব |
ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে রান্ডব কিছু কথা বলব যাতে আপনারা বুঝতে সক্ষম হয়। এ বিষয়ে আপনাকে ধারণা দিব যাক তা আপনারা বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং তা অনুভব করতে পারেন কেন আপনারা ফ্রিলান্সিং শিখবেন?
ভূমিকা
অনেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন কিন্তু কিভাবে করবেন তা বুঝতে পারতেছেন না, যে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করবে? চিন্তা করার একদমই কারণ নেই আজকের এই টপিকে বলব যে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হয়।
ফ্রিল্যান্সিং কি
ফ্রিল্যান্সিং একটি জবের মতই, আমরা যদি কোন কোম্পানিতে জব করতে চাই তাহলে আমরা কি করি? ওই কোম্পানির দিয়ে কোন সার্কুলার দিলে তখন আমরা জবের জন্য এপ্লাই করি, সেখানে আমাদের সিভি সাবমিট করি তারপর আমাদের জব হয়ে গেলে নির্দিষ্ট একটি দায়িত্ব পালন করে থাকি। তারপর সেখান থেকে আমাদের প্রতি মাসে স্যালারি নির্দিষ্ট হয় আমাদের সেই কাজের বিনিময়ে।
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে সেই ধরনের একটি জব। অনলাইন বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন মানুষদেরকে হায়ার করে থাকে সে কোম্পানির বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার জন্য। যেমন একটি কোম্পানির লঞ্চ হয় যখন তার একটি লোগো ডিজাইন দরকার, সোশ্যাল গ্রাফিক ডিজাইনার হায়ার করে করিয়ে নেই। আবার একটি কোম্পানির ওয়েবসাইটের প্রয়োজন একজন ওয়েব ডেভেলার কে ফায়ার করে ওয়েবসাইট করে নেন।
অর্থাৎ অনলাইনে আপনার যে দক্ষতা বাই স্কিল রয়েছে। যে বিষয়টা আপনি জানেন অথবা আপনি ভবিষ্যতে শিখে নিবেন সেই দক্ষতা দ্বারা আপনি বিভিন্ন কোম্পানিকে সহযোগিতা করবেন যার বিনিময়ে কোম্পানি আপনাকে অর্থ প্রদান করবেন। তবে নরমালি যে জবগুলো আমরা দেখি জবগুলোর সাথে ফ্রিল্যান্সিং সে জব গুলোর সাথে ডিফারেন্স আছে।
সেটা হচ্ছে লুকালি আমরা বাংলাদেশের মধ্যে জব করি তাহলে আমরা ফিক্সড জব করি। প্রতিদিন নেওয়ার নির্দিষ্ট একটি টাইমে অফিস করি এবং মাস শেষে আমাদের স্যালারি জেনারেট হয়। কিন্তু ফ্রিল্যান্সাররা অনলাইনে ফিক্সড কোন কোম্পানির জন্য ফিক্সড জব করে না। একটা নির্দিষ্ট টাইম অনুযায়ী পুরো মাস জুরে কাজ করা না একটা কন্ট্রাক্ট বেসিস কাজ করে।
তার সঙ্গে একটি কাজ করে না এর সঙ্গে অনেকগুলো কাজ করে থাকে যার জন্য তারা প্রতি মাসে একাধিক বার প্রেমেন্ট পেয়ে থাকে। যেমন একজন ওয়েব ডেভেলপার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে। সে একসঙ্গে দশটা কোম্পানির দশটি ওয়েবসাইট তৈরি করল তাহলে সে দশবার পেমেন্ট পেয়ে থাকবে। আবার সেটা যত ডলার ($) হোক 50$ হলে 50*10= 500$ এটা শুধু আপনাকে উদাহরণ দিলাম এর থেকে বেশিও হতে পারে ডলার ($)।
একইভাবে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার লোগো ডিজাইন করতে পারেন। সে ব্যক্তিও যদি একসঙ্গে ১০টা কোম্পানির ১০টা লোগো তৈরি করে দেন তাহলে সে দশবার অর্থ পেয়ে থাকবেন। কিন্তু সাধারণভাবে আমরা যে কোম্পানি গুলোতে ফিক্সড জব করি তাহলে মাস শেষে আমরা একবারই অর্থ পেয়ে থাকবো।
যার জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যান্য জবের মানুষদের থেকে বেশি অর্থ উপার্জন হয়। ফ্রিলান্সিং দের পেমেন্ট যেহেতু তো ডলারে হয় সেই জন্য আর্নিংটাও বেশি হয়। আপনারা এটা ভাববেন না যে কোন জব ব্যক্তিদের সাথে ফ্রিলান্সিং দের তুলনা করতেছি শুধু আপনাদের বোঝানোর জন্য কয়েকটা উদাহরণ দিলাম।
আপনি যদি অলরেডি কোন কাজ পেরে থাকেন। কিন্তু কোন কাজ পাচ্ছেন না তাহলে আপনি সেটির উপর আরো বেশি ডেভেলপ করবেন। যাতে আপনার কাজ দেখে ট্রাফিকরা খুশি হন। আর আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন বা চান তাহলে আপনারা কোন একটি বিষের উপর দক্ষতা অর্জন করেন, আপনি চাইলে সব স্কিলই অর্জন করতে পারবেন।
যে বিষয়ে আপনি লোক অর্জন করতে পারলে সেই বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারবেন অনলাইন বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে। যেমন fiverr, Upwork, Freelancer ইত্যাদি এ মার্কেট প্লেসগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানিকে আপনি সাহায্য করতে পারবেন। যেমন আপনি যদি Microsoft word, Microsoft Excel এগুলো দ্বারাও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সাররা মূলত কন্ট্রাক্টর তারা কন্টাক্ট বেসিস কাজ করে থাকে, ফিক্সড কোন জবে কাজ করে না। একটা স্বাধীনতা আছে ফ্রিল্যান্সার দের মধ্যে, তারা চাইলে এই মাসে ১০ জনের কাজ করে থাকলো আবার চাইলে ২০ জনের কাজ করলো। আবার চাইলে কারো কাজই করলো না এরকম স্বাধীনতা আছে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে।
বেশি আরনিং এর মাঝে একটু ইনসিকিউর আছে যদি আপনার কাছে কোন ক্লায়েন্টই না থাকে তাহলে আপনার ইনকাম না হওয়ারও চান্স আছে। কিন্তু আপনি যদি কোন বিষয়ে স্ক্রিল ভালোভাবে ডেভেলপ করেন তাহলে বেকার বসে থাকা সম্ভাবনায় খুবই কম। তাই ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে যেকোনো একটি বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে।
তারপর আপনি যেকোন মার্কেটপ্লেসে জয়েন হওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানিকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে আপনি একটি ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
ফ্রিলান্সিং শুরু করার ৫টি কার্যকারী পদ্ধতি
- কোন একটি বিষয়ে Skill অর্জন করাঃ ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে প্রথম আপনাকে কি ল অর্জন করতে হবে। যথাঃ
➤ Digital Marketing
➤ Web Development
➤ Graphics Design
➤ Web Desing
➤ Video Editing
এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং এ শত শত ক্যাটগরি রয়েছে আপনাকে খুঁজে নিতে হবে যে আপনি কোনটা ডেভলপ করতে পারবেন। - কোথায় থেকে শিখবেন এবং Skill অর্জন করবেনঃ এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটা Way তে শিখতে পারবেন।প্রথমত কোন একটি ট্রেনিং সেন্টার থেকে শিখতে পারেন। দ্বিতীয়ত আপনি youtube থেকে শিখতে পারেন। ইউটিউব মানে হচ্ছে ভিডিও দেখে শিখতে পারেন।তৃতীয়ত হচ্ছে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন আর্টিকেল করে পড়ে শিখতে পারেন।
যদি আপনার ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কোন ধারণা না থাকে তাহলে আপনি কোন একটি ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হবেন। তাহলে ফিজিক্যালি কথাগুলো আপনি বুঝতে পারবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে ভালোভাবে জানতে পারবেন। আপনি যদি কোন সমস্যায় পরেন তাহলে একদম হাতে কলমে তাদের থেকে বুঝে নিতে পারবেন। - ইংরেজিতে Skill অর্জন করাঃ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার ইংরেজিতে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। তার মানে এই না ইংরেজিতে Highly Skill থাকতে হবে ইংরেজিতে কথা বলতে হবে। আপনি যদি তাদের সাথে ইংরেজিতে চ্যাটও করতে পারেন তাহলে মোটামুটি হয়ে যাবে।শুধু চ্যাট করলেই হচ্ছে না এখানে একটা বিষয় হচ্ছে আপনি যখন Buyer এর কাছ থেকে চ্যাট করে কাজ নেবেন।
নেওয়ার পর সে কাজটি কিভাবে করবেন সে বিষয়ে একটা ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিবে সেটাও ইংরেজিতে। ইনস্ট্রাকশন টি পড়ার মতন ক্ষমতা আপনার থাকতে হবে তা না হলে আপনি কি করতে পারবেন না।একজন বায়ার কি বলতে চাচ্ছে সেটা বুঝে আপনাকে কাজটা করে দিতে হবে।
আর যদি মনে করেন ইংরেজিতে নলেজ টা একদমই নেই শুধু Basic টা জানেন তারপরও আপনি ভয় পাবেন না। কারণ কোন কিছুই মানুষের পূর্বে থেকে থাকে না সেটাকে অর্জন করতে হয়। আপনি ফ্রিল্যান্সিং শেখার পাশাপাশি আপনি ইংরেজিটাও শিখতে পারেন। - মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করাঃ পূর্বে যে ইস্কিল গুলোর কথা বলেছি সেগুলো যখন আপনার অর্জন হয়ে যাবে তখন must be মার্কেট প্লেসে একাউন্ট খুলতে হবে। এই একাউন্ট খোলাটা অনেকের কাছে ঝামেলা হতে পারে তাই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য হয় কোন ভাল ট্রেনার বা YouTube এ ভিডিও দেখে আপনি অ্যাকাউন্ট খুলবেন।
বাংলাদেশে Fiverr or Up Work খুব জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এই দুইটা ছাড়াও আপনি যে বিষয়টা নিয়ে কাজ করছেন তার জন্য আপনাকে করতে হবে কোথায় আপনি ভালো কাজ পাবেন। - কম্পিউটার বা মোবাইল ক্রয় করাঃ ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার ক্রয় করতে হবে। এখন আপনারা অনেকে ভাবছেন মোবাইল দিয়ে হবে কি না? মোবাইলে পড়তে পারবেন কিন্তু প্রফেশনালি যখন আপনি কাজ করবেন তখন কম্পিউটার প্রয়োজন হবে।
এক্ষেত্রে আপনি Laptop রাখতে পারেন আবার Dekstop রাখতে পারেন। এটা আসলে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বা কাজের দক্ষতার অনুযায়ী প্রয়োজন।
ব্রোক্লিন৬৯ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url