ব্যায়াম করার সঠিক সময় কখন হওয়া উচিত

নিজেকে পরিবর্তন করার উপায় জেনে নিনদীর্ঘ রাত্রি গভীর ঘুমের পর সকালে ঘুম থেকে ওঠে ব্যায়াম করা যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ঘুমের পর সকালের ব্যায়াম সারাদিন আপনাকে ফুর ফুরে রাখতে অনেকটা সাহ্যায করবে। এছাড়া সকালে ব্যায়াম করা সম্ভব নাহলে সন্ধ্যার আগে ঠিক বিকেলে ব্যায়াম করার উপযুক্ত সময়। যেহেতু ব্যায়াম করলে শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় চর্বি জাতীয় পদার্থ এবং ঘাম ঝরে তাই নরম আবহাওয়াতে ব্যায়াম করা ভালো।
ব্যায়াম করার সঠিক সময় কখন হওয়া উচিত
ব্যায়াম করার সঠিক সময় কখন হওয়া উচিত
ব্যায়াম করার সময় বেশি খাবার খাওয়া উচিত না, হালকা কিছু খাওয়া দরকার। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা থেকে যত পারেন মিষ্টি,ফাষ্টফুড,কোল্ড্রিং এগুলা বাদ দিতে হবে। কারণ এগুলা খাবার খেলে উপকারের থেকে অপকার বেশি হবে। তাই আমাদের খাবারের প্রতি সচেতন থাকতে হবে এবং দৈনন্দিন খাবারের তালিকা করে রাখতে হবে।

প্রতিদিন সকালে ৬-টি ব্যায়াম, আপনার করা দরকার

যখন আপনি ব্যায়াম করা শুরু করবেন সবার প্রথমে আপনার শরীরকে একটু গরম করে নিবেন।
স্পট র‍্যানিংঃ এতে আপনাকে এক জায়গায় র‍্যানিং করতে হয়,এতে আমাদের শরীর দ্রুত গরম হয়ে যায়। এটি আপনি ৪৫-৬০ সেকেন্ড করবেন তাহলেই শরীর গরম হয়ে যায়।

স্কোটঃ এই ব্যায়ামের মানে উঠ বস করা, এই ব্যায়ামটি যদি করেন তাহলে আপনার পায়ের মাংস দ্রুত শক্ত হবে এবং মোটা হবে।

পুস আপঃ পুস আপ আমাদের দুইটি নিয়মে করতে হবে, Normal push-ups এবং Incleng push-ups। Incleng push-ups করার জন্য কোনো বস্তুর উপর হাত রেখে পুস আপ করতে হবে। এতে আপনার বুকের চড়া বড় হবে এবং শক্ত হবে।

ট্রিসেপ ডিপসঃ এটি হাতের পেশির জন্য অনেক ভালো একটা ব্যায়াম। এই ব্যায়াম করলে আপনার পেশি শক্ত হবে, এই ব্যায়াম করতে হবে আমাদের ২সেট আর ১২ রেপিটেশনের সাথে।

সিন আপসঃ এই ব্যায়াম করে আপনি আপনার ব্যাক সাইডে অনেক দ্রুত ভাবে প্রমান পাবেন। এই ব্যায়ামটি কোনো দেওয়াল বা রড ধরে করতে পারবেন ।

ক্রান ছেসঃ এই ব্যায়ামটি আমাদের পেটের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এটি করলে পেটের মেদ সঠিক ভাবে থাকে যা আমাদের শরীর ফিট রাখে।

ব্যায়াম করার আগে ও পরে কি খাবেন

ব্যায়াম করার সময় শক্তি ও অনেক জল নষ্ট হয় এই জন্য ওয়ার্ক আউটের জন্য খাবারের উপর বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। এখানে খাবারে যদি একটু অবহেলা করেন তাহলে আপনার শরীরে দুর্বলতা আসতে পারে আর ব্যায়াম করা আপনার জন্য ক্ষতি কারক হতে পারে। তাই এমন খাবার খেতে হবে যেটাতে প্রটিন,কার্বহাইড্রেস ও ফাইবারের মাত্রা অধিক থাকে। ব্যায়াম করার সময় যদি এগুলো সঠিক ভাবে পেয়ে যান তাহলে ব্যায়াম করার রেজাল্ট আপনি দিগুন ভাবে পেয়ে যাবেন।

ব্যায়াম করার আগে যা খেতে হবে

যদি আপনি সকালে ঘুম থেকে ওঠেই ব্যায়াম করতে লাগেন তাহলে হালকা কিছু খাবেন। যেমনঃ দুধ,কলা,আপেল,ব্যাদাম আর যদি আপনি দেরিতে ওঠেন তাহলে ব্যায়াম করার ১ঘন্টা আগে ভারি নাস্তা করতে পারেন। এই সময়টা আপনাকে প্রটিনের জন্য প্রটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। প্রটিনের জন্য আপনি ডিম খেতে পারেন।

কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে শুধু ডিমের সাদা অংশ খেতে হবে হলুদ অংশকে একদম খাওয়া যাবে না। কারণ এতে ফাট হয় ব্যায়াম করার আগে আপনি ২টি ডিম খাবেন। তারপর আপনাকে ব্যাদাম বা কলা খেতে হবে এতে ব্যায়াম করা চলাকালীন আপনাকে শক্তি এবং ইনার্জি দিবে। আপনাকে ডিম আর কলা ১ঘন্টা আগে খেতে হবে। আর অবশ্যই ডিমটি সিদ্ধ করে খেতে হবে।

ব্যায়াম করার পর যা খেতে হবে

ব্যায়াম করার পর আপনার বডির সব মাছাস ভেঙ্গে যায় আর ওটিকে ভরার জন্য আপনাকে প্রটিন নাওয়া দরকার। প্রটিনের জন্য আপনি ডিমের ব্যবহার করতে পারেন। আপনাকে ৪-৫টা ডিম খেতে হবে, যেটা খেতে শুধু হলুদ অংশ বাদ দিয়ে সাদা অংশ খেতে হবে। মনে রাখবেন আপনি যেটাই খাবেন ব্যায়াম করার ১০-১৫ মিনিট পর খেতে হবে। তাহলে আপনার মাছাস দ্রুত থেকে দ্রুত গ্রো করবে। এটা খাওয়ার ১ঘন্টা পর আপনাকে ভালো নাস্তা করতে হবে।এই মিলটি সব থেকে গুরুতপূর্ণ হওয়া দরকার।

নিয়মিত ব্যায়াম করলে যা যা উপকার হবে 

ব্যায়ামের উপকারিতা জানা আছে সবারই কমবেশি। তবে নিয়ম করে ব্যায়াম করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। কদিন ব্যায়াম করলেন, আবার কদিন বাদ দিলেন, এভাবে অনিয়ম হলে চলবে না।হঠাৎ ব্যায়াম ছেড়ে দেওয়াও ঠিক নয়। কিছুদিন খুব কঠোর পরিশ্রমের ব্যায়াম করে আবার কিছুদিনের জন্য ব্যায়াম একেবারেই বাদ দিয়ে দিলেন, এমনটা করবেন না। এর চেয়ে বরং সহজ ব্যায়াম করুন। নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস ধরে রাখুন।

যাঁরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যায়াম করেন বা হাঁটাহাঁটি করেন, তাঁরা যদি হুট করে ব্যায়াম ছেড়ে দেন, তাহলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

শরীর ফিট রাখতে যাঁরা ব্যায়াম করেন, তাঁরা ব্যায়াম ছেড়ে দিলে ব্যায়ামের উদ্দেশ্যে তো বিঘ্ন ঘটবেই। যাঁরা ওজন কমানোর ব্যায়াম করেন তাঁদের ক্ষেত্রে ব্যায়াম ছেড়ে দিলে হুট করে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে; কারণ ব্যায়ামের মাধ্যমে যেমন নিয়মিত হারে ক্যালরি পোড়ানো হচ্ছিল, সেটি আর সম্ভব হয় না।

সুস্থ হৃৎপিণ্ডের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম চাই। নিয়মিত ব্যায়ামে রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যায়ামের জন্য সময় বের করা এমনিতেও কঠিন; তা ব্যস্ততার জন্যই হোক আর আলসেমির কারণেই হোক। কাজেই একবার ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে সেটিকে ধরে রাখার চেষ্টা করাই শ্রেয়। অভ্যাস ছুটে গেলে নতুন করে অভ্যাস তৈরি করা কঠিন। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করুন। ভারী ব্যায়াম করতে পারলে অবশ্য সপ্তাহে ৭৫ মিনিটই যথেষ্ট।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্রোক্লিন৬৯ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url