ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

রমজান মাসের রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত - রমজান মাস ২০২৪আমরা যেসব খাদ্য গ্রহণ করি তার শর্করা জাতীয় অংশ পরিপাক এর পরে সিংহভাগ গ্লুকোজ হিসেবে রক্তে প্রবেশ করে। আর দেহকোষ গুলি প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদনের জন্য গ্লুকোজ গ্রহণ করে। অধিকাংশ দেহ কোষ এই গ্লুকোজ গ্রহণের জন্য ইনসুলিন নামক এক ধরনের হরমোনের উপর নির্ভরশীল। ডায়াবেটিস হলো ইন্সুলিনের সমস্যা।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
ইনসুলিন কম বা কার্যকর হওয়ার জন্য কোষে গ্লুকোজের ঘাটতি এবং রক্তে গ্লুকোজের ঘাটতি হয় এই সামগ্রিক অবস্থাই হলো ডায়াবেটিস। কারো রক্তে গ্লুকোজ সুনির্দিষ্ট মাত্রা অতিক্রম করলেই তাকে ডায়াবেটিস রোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই মাত্রা গুলি হল অভুক্ত অবস্থায় রক্তের প্লাজমায় প্রতি লিটার ৭. ০ মিলিমোল বা তার বেশি অথবা অভুক্ত ব্যক্তিকে ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খাওয়ানোর পর দুই ঘন্টা পর প্রতি লিটারে ১১. ১১ মিলিমোল বা তার বেশি হলে।

ভূমিকা

অগ্ন্যাশয় নামক একটি গ্রন্থি থেকে ইনসুলিন নামে একটি হরমোন নিঃসৃত হয়।এই ইনসুলিন কোন কারনে কম বা অকার্যকর হলে রক্তের গ্লুকোজ এর পরিমাণ বেড়ে যায় এবং অতিরিক্ত গ্লুকোজ প্রসাবের সাথে বেরিয়ে আসে।

সাধারণত ডায়াবেটিস রোগের জন্য বংশগত ও পরিবেশের অভাব দুটোই দায়ী। শক্তির জন্য দেহে শর্করা, আমিষ, চর্বি জাতীয় খাদ্যের প্রয়োজন ও অন্যান্য খাবার সঠিকভাবে শরীরের কাজে আসে না ডায়াবেটিস হলে, অগ্ন্যাশয় থেকে প্রয়োজন মত কার্যকারী ইনসুলিন নামের রস নিঃসরণ হয় না বা এর কার্যকারিতা হ্রাস পায় বলে, দেহে শর্করা আমিষ ও চর্বি জাতীয় খাদ্যের পরিপাক ঠিক হয় না।

ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ কি?

১. ঘন ঘন প্রসব হওয়া।

২. খুব বেশি পিপাসা লাগা।

৩. বেশি ক্ষুধা পাওয়া।

৪. যথেষ্ট হওয়া সত্বেও ওজন কমে যাওয়া।

৫. ক্লান্তি ও দুর্বলতা বোধ করা।

ডায়াবেটিস কি প্রতিরোধ করা যায়

ডাইবেটিস প্রতিরোধ করা যায় না।এ রোগ সারা জীবনের রোগ। তবে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ রোগকে ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে প্রায় স্বাভাবিক কর্মঠ জীবন যাপন লাভ করা সম্ভব।

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস

অনেক সময় গর্ভবতী অবস্থায় প্রসূতিদের ডায়াবেটিস ধরা পড়ে আবার প্রসবের পর ডায়াবেটিস থাকে না এই জটিলতাকে গর্ভকালীন ডায়বেটিস বলা হয় গর্ভবতী মহিলাদের ডায়াবেটিস হলে গর্ভবতী ব্রুনো প্রসূতি ও সদ্য প্রসূত শিশু সকলের জন্য হতে পারে বিপদের আবার জন্য গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়াবেটিসের প্রয়োজনে ইনসুলেটরের মাধ্যমে বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক।

এদের প্রসব হাসপাতালে গর্ভকালীন সকল মহিলাকে বিশেষ করে যাদের ঝুঁকে আছে যেমন বংশ প্রভাব স্থূলকায় বেশি বয়স্ক ইত্যাদি। এ ধরনের মহিলাদের ডায়াবেটিস আছে কিনা পরীক্ষা করাতে হবে এই ধরনের রোগীদের পরবর্তী সময় ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ডায়াবেটিক মহিলা যদি সন্ধান করতে চাই। তবে গর্ভবতী হওয়ার পূর্বে অবশ্যই তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

তিন থেকে পাঁচ মাস আগে থেকেই খাওয়ার বরি বাদ দিয়েই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনসুলিন নিতে হবে।এইচ বি এ আই সি ৬.৫% এর কাছাকাছি হলে চিকিৎসকের সাপেক্ষে কোন ধরনের আসতে পারেন গর্ভকালীন অবস্থায় তাকে ইনসুলিন এর সাহায্যে তার রক্তের চিনির মাত্রা অভুক্ত অবস্থায় ৫.০ মোল এবং খাবারের পরে ৭.০ মিলিমোল লিটারের নিচে রাখতে হবে। শিশুর ক্ষেত্রে বিকলাঙ্গ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীর সঠিক খাদ্যাভ্যাস

ডায়াবেটিস হলে খাদ্যের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে। খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা ডায়াবেটিস হওয়ার আগে যেরকম থাকে পরেও একই থাকে। পুষ্টির চাহিদা কোন তারতম্য হয় না খাদ্যের নিয়ম মেনে চলার প্রধান উদ্দেশ্য থাকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা স্বাস্থ্য ভালো রাখা।

১. শরীরের ওজন বাঞ্ছিত ওজনের বেশি থাকলে তা কমিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসা কম থাকলে বাড়িয়ে স্বাভাবিক রাখা এবং ওজন স্বাভাবিক মাত্রায় থাকলে সেটা বজায় রাখা একান্ত আবশ্যক।

২. চিনি মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে।

৩. শর্করা বহুল খাবার গুলো ( চাল আটা দিয়ে তৈরি খাবার মিষ্টি ফল ইত্যাদি)কিছুটা হিসাব করে খেতে হবে।

৪. আশ বহুল খাবার (ডাল, শাক-সবজি, টক ফল ইত্যাদি)বেশি করে খেতে হবে।

৫. সম্পৃক্ত ফ্যাট যেমন:ঘি, মাখন,চর্বি, ডালডা, মাংস ইত্যাদি কম খাওয়ার পরিবর্তে অসম্পৃক্ত ফ্যাট যেমন: উদ্ভিদের অর্থাৎ সয়াবিন তেল,সরিষার তেল ইত্যাদি এবং সব ধরনের মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

৬. নির্দেশিত খাদ্য তালিকা শিখে নিতে হবে।

৭. ক্যালোরি বহুল খাবার নির্দেষিত পরিমাণে খেতে হবে।

৮. নির্দিষ্ট সময় খাবার খেতে হবে।

৯. কোন বেলার খাবার বাদ দেওয়া ঠিক নয়।
আজ কম কাল বেশি এভাবে খাবার খাওয়া ঠিক নয়।

১০. অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হলে অর্থাৎ অসুস্থ অবস্থায় বিশেষ খাদ্য অবস্থা জেনে নিতে হবে।

ক্যালরিচার্ট

খাদ্যের নাম ওজন পরিমান ক্যালরি
আটার রুটি ৩০ গ্রাম ১ টা ৭৫
ভাত ১২০ গ্রাম ১ কাপ ১৪০
মুড়ি ২০ গ্রাম ১ কাপ ৬৪
চিড়া ২০ গ্রাম ১/২ কাপ ৭০
বিস্কুট (চিনি ছাড়া) ৩০ গ্রাম ৪ টি বড় ১২০
মাছ (কাচা) ৩০ গ্রাম ১ টুকরা ৩০
মুরগীর মাংস (কাচা) ৩০ গ্রাম ১ টুকরা ৩০
গরুর মাংস (কাচা) ৩০ গ্রাম ১ টুকরা ৩৬
খাসীর মাংস (কাচা) ৩০ গ্রাম ১ টুকরা ৪০
ডিম ১ টা ৮০
ডাল (কাচা) ১৫ গ্রাম ১ কাপ রান্না করা ৫০
দুধ ১২০ মি.লি ১ কাপ ৮০
সবজি কাচা পাতা জাতীয় ১০০ গ্রাম ২০
সবজি কাচা ১০০ গ্রাম ৪৫
ছোলা (শুকনা) ২৫ গ্রাম ১/২ গ্রাম ৯০
সীমের বিচি (শুকনা) ৩০ গ্রাম ৬০ টা ১১৫
বাদাম ২৫ গ্রাম ১৬৪
কলা ১০০ গ্রাম ১ টা ১০০
আপেল ৪০ গ্রাম ১ টা ৩০
কমলা ৬০ গ্রাম ১ টা ২৬

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্যায়াম

রোগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ব্যায়াম বা শরীর চর্চা গুরুত্বপূর্ণভাবে ভূমিকা পালন করে। ব্যায়াম বা দৈহিক পরিশ্রম মাংসপেশি জরতা দূর করে এবং রক্ত চলাচলের সাহায্য করে। ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকে ইন্সুলিনের কার্যকারিতা ও নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। প্রতিদিন অন্তত ৪০ মিনিট থাকলে শরীর সুস্থ থাকবে।সেটা নিয়মিত একই সময়ে করলে ভালো হয়। শারীরিক অসুবিধা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ মত সাধ্যমত কায়িক পরিশ্রম করতে হবে।

রোজার সময়ে নিয়ম

১. কখনো ও কি পরিমাণে ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হবে বা ট্যাবলেট খেতে হবে। সেটা ভালোভাবে আপনার চিকিৎসকের নিকট থেকে জেনে নিন ইনসুলিন নির্ভরশীল ডায়াবেটিস রোগীর যদি প্রসাবে এসিটোন যাওয়ার প্রবন্ধ থাকে।তাদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত রোজা রাখা উচিত হবে না।

২. রোজার সময়ের জন্য বিশেষ খাবারের নিয়ম জেনে নিন।সেহেরির খাবার শেষ সময়ের অল্প কিছু আগে খাওয়া বাঞ্ছনীয় সেহেরি সময় নামমাত্র পরিমাণে খাবার খেয়ে রোজা রাখা উচিত নয়।

৩. রোজার দিনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই।

৪. রোজার দিন বিকেলে দৈহিক পরিশ্রমের কাজ না করে বিশ্রাম নেওয়া ভালো।

৫. রোজা রেখে রক্ত পরীক্ষা করা যাবে (এমনকি প্রয়োজনে দিনের বেলাতেও)।

৬. রোজা রেখে রক্ত ইনসুলিন নেওয়া যাবে।

 

ইচ্ছামতো খাওয়া যাবে

(ক্যালরিবিহীন ও স্বল্প ক্যালরিযুক্ত খাদ্য) 

চা বা কপি 


মশলা 

ধনে, জিরা, হলুদ, মরিচ, আদা, রশুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি

এসেন্স

ভ্যানিলা, স্ট্রবেরি ইত্যাদি 

শাক-সবজি 

খাদ্য তালিকায় রয়েছে 

ফল 

খাদ্য তালিকায় রয়েছে 

মিষ্টি 

এসপারটেম, স্যাকারিন, জেলাটিন 



 

খাওয়া নিষেধ

(সহজ শর্করা ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাদ্য) 

চিনি/গুড়

চিনি দিয়ে তৈরি শরবত ও খাবার, যেমনঃ কেক, পেস্ট্রি জ্যাম ইত্যাদি। মিষ্টি ঘনিভূত দুধ, মিষ্টি বিস্কুট 

সফট ড্রিংকস 

কোকা কোলা, পেপসি, ফান্টা ইত্যাদি 

(বিঃদ্রঃ ডায়েট ড্রিংকসগুলি এর অন্তর্ভূক্ত ন্য) 

গ্লুকোজ 

শরবত 

মধু


রস

খেজুর, তাল বা আখের 

মিছরি 


ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা


ক্যালোরি- ১৮০০

শর্করা- ২৭০ গ্রাম

প্রোটিন- ৬৬ গ্রাম

ফ্যাট- ৫২ গ্রাম

সময় সকাল ৭-৮ টা : আটার রুটি, ৯০ গ্রাম (তিনটা ছোট পাতলা)।

১১ টা: মুড়ি, বিস্কুট, খই ইত্যাদি ৩০ গ্রাম।

দুপুর ১ টা থেকে ২ টা : ভাত ৩০০ গ্রাম (২ কাপ), মাছ বা মাংস ৬০ গ্রাম (দুই টুকরা), ডাল ২০ গ্রাম (এক কাপ মাঝারি ঘন), সবজি-(পালং শাক,লাল শাক,পুঁইশাক, কলমি শাক,কচু শাক ইত্যাদি)। (ফুলকপি, বাঁধাকপি,মুলা, ওলকপি, কাঁচা টমেটো, কাঁচা পেঁপে,শশা,করলা,ঝিঙ্গা, পটল, চাল কুমড়া ইত্যাদি)।

বিকাল ৫ টা থেকে ৬টা: মুড়ি, বিস্কুট, খই ৩০০ গ্রাম ইত্যাদি।

রাত্রি ৮ টা থেকে ৯ টা: আটার রুটি- ১২০ গ্রাম (চারটা ছোট পাতলা) বা দুই কাপ ভাত। মাছ বা মাংস ৬০ গ্রাম (দুই টুকরা)। ডাল- ২০ গ্রাম (এক কাপ মাঝারি ঘন)।

রাতে শোবার আগে কমপক্ষে রাতে খাওয়ার দুই ঘন্টা পর (এক কাপ দুধ)খেতে পারেন।

ডায়াবেটিস রোগীর রোজার সময় খাবারের তালিকা


(১৮০০ ক্যালোরি)

ইফতার:

বুট ভুনা- ১২০ গ্রাম

পিয়াজু - ৩ টা বড় মাপের

বেগুনি - ২টা মাঝারি

মুড়ি - ১ কাপ

শশা,খিরা,আমড়া, কচি পেয়ারা,ডাবের পানি,লেবুর পানি (চিনি ছাড়া)ও অন্যান্য টক ফল ইচ্ছামত খাওয়া যাবে।

সন্ধ্যা রাতে:

আটার রুটি - ৯০ গ্রাম (তিনটা ছোট পাতলা) বা ভাত এক কাপ।

মাছ বা মাংস - এক থেকে দুই টুকরা।

ডাল- এক কাপ মাঝারি ঘন।

সবজি-পালং শাক, লাল শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা পটল, চালকুমড়া, কাঁচামরিচ ইত্যাদি।

ভোররাতে:

ভাত- ৩০০ গ্রাম দুই কাপ।

মাছ-মাংস:দুই থেকে এক টুকরা।

ডাল- এক কাপ মাঝারি ঘন বা এক কাপ দুধ।

সবজি- বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, পটল ইত্যাদি।

ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

করোনা ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ম করে খাওয়া জরুরী। এতে ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। আদা ডায়াবেটিস হলে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। আমলকির রস ডায়াবেটিস কমানোর একটি ঘরোয়া টোটকা। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। অ্যালোভেরা জেল শক্তিশালী উপাদান যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখে। আপেল সিডার ভিনেগার অনেক উপকারী সুগারের লেভেল কমাতে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারিতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে গবেষণায় দেখা গেছে,২৯% কমিয়ে আনে নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কমিয়ে খেতে হবে। রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য ভিটামিন ডি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নিম বিটা ইনসুলিনের‌ সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে যার রক্তের শর্করার মাত্রা হ্রাস করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সবুজ শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে।পালং শাক,বাধাকপি, মেথি, বিট এসব ফাইবারে পরিপূর্ণ। শর্করা নিয়ন্ত্রণের রাখতে রোজ একটা করে সবজি খেতে হবে। কুমড়ো তারপরে পটল, ঝিঙে, ঢেঁড়স, এসব সবজি রোজ খাওয়ার নিয়ম করেন। নিম, তুলসী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং নিম পাতায় রয়েছে ঔষুধ বৈশিষ্ট্য।

লেখক এর মতামত

শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। তিন বেলা ঠিকমত খাবার খেতে হবে। বিশেষ করে, ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারে অনিয়ম করা যাবে না। অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।আশা করি, উপরের আর্টিকেলটি আপনাদের ব্যক্তি জীবনে কাজে আসবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্রোক্লিন৬৯ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url